124 ) মুক্তিযোদ্ধা হলেই কিন্তু হয় না জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান !!!
124 ) মুক্তিযোদ্ধা হলেই কিন্তু হয় না জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান (ALL FREEDOM FIGHTERS NEVER THE GREAT CHILDS OF THE NATION) !!!
যদি মুক্তিযোদ্ধা হলেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয় - তবে কর্নেল ফারুক , রশিদ আর ডালিমরাও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হতো !
1947 সালে বৃটেনের কাছ থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় মিস্টার জিন্নাহর রাজনৈতিক দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতেই ভারত পাকিস্তান নামে নতুন করে দুটা দেশ গঠন করা হয়েছিলো।
বর্তমান বাংলাদেশের নাম দেয়া হয়েছিলো পূর্ব পাকিস্তান আর বর্তমান পাকিস্তানের নাম দেয়া হয়েছিলো পশ্চিম পাকিস্তান।
কিন্তু , এই দুই পাকিস্তানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিকদের হাতে।
সেটাও মেনে নেয়া চলতো - কিন্তু তাদের আচরণ ছিলো বৃটেনের মতোই ঔপনিবেশিক। মানে , বৃটেনের শাসকরা যেভাবে ভারতবর্ষের মানুষদেরকে অবহেলা ও অবজ্ঞার মাধ্যমে শাসন করা শুরু করে , ঠিক সেভাবেই ওরা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে শাসন - শোষণ করে ।
ব্যাপারটা কখনই কেউ আশা করেননি। এমনটাই যদি হবে , তাহলে বৃটেন থেকে ভারতের স্বাধীন হয়ে কোন উপকার হয়নি।
তাই সেই সময়ে মি. সোহরাওয়ার্দি , এ.কে ফজলুল হক , মাওলানা ভাসানি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রাদেশিক স্বাধীনতা ও সম্মানজনক নাগরিক অধিকার আদায়ের জন্য তৎপর হলেন।
আর তিনিদের সঙ্গে যোগদান করলেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে আগত শেখ লুৎফর রহমান সাহেবের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমান (তিনিকে আরো পরে "বঙ্গবন্ধু" উপাধি দিয়েছিলেন তোফায়েল আহমদ সাহেব)।
বিষয়টা বঙ্গবন্ধুর কাছেও অপছন্দের হয়েছিলো। তাই তিনিও উক্ত নেতাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতিতে যোগদান করেন।
পর্যায়ক্রমে তিনিরা নির্বাচন করে পাশ করলেও পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তারা তিনিদেরকে রাজনৈতিক অধিকার দেয়নি।
অবশেষে বিভিন্ন আন্দোলনের পর বঙ্গবন্ধু 1971 সালের 7 মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে "সোহরাওয়ার্দি উদ্যান") ঘোষণা করলেন , "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম !"
বঙ্গবন্ধুর ঐ ভাষণে উৎসাহিত হয়ে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে অনেক মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ত্যাগ করে অনেক অফিসার ও সৈনিক মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন - তিনিদের মধ্যে 🌟 কর্নেল ফারুক , রশিদ আর ডালিমরাও ছিলো।
যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু ঐ মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল ফারুক , রশিদ আর ডালিমরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো।
ঐ হত্যাকাণ্ড রাজাকারেরা (War Criminals) কিন্তু করেনি - বরং মুক্তিযোদ্ধারাই করেছিলো !!!
🌟 এবং বঙ্গবন্ধুর আমলে যারা চোরাকারবারের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য অন্যদেশে পাচার করেছিলো - ওরাও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাই ছিলো।
🌟 এবং বর্তমানে যেসকল মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আছে - ওরাও মুক্তিযোদ্ধা হলেও কখনই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তাননা !!!
🌟🌟🌟 আমার মতে , শ্রেষ্ঠ সন্তান তো তিনিরাই - যিনিরা এখনও সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের কল্যাণ করছেন !!!
🌟 প্রিয় পাঠক , এবার নিশ্চয়ই বুঝেছেন যে , মুক্তিযুদ্ধা হলেই হয়না জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ।
Comments
Post a Comment