143 ) একরাম চৌধুরীর ক্রস ফায়ার (CROSS FIRE OF Ekram Chowdhury)। - 🙌🏻⌨️📲 Written by Junayed Ashrafur Rahman

143 ) একরাম চৌধুরীর ক্রস ফায়ার (CROSS FIRE OF Ekram Chowdhury)।- 🙌🏻⌨️📲 Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒

2018 সালের এই সময়ে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরাম চৌধুরী নিহত হয় Rab-র ক্রস ফায়ারে।

সেই সময়ে আমার বাবা ইন্তেকাল করেন 23 মে 2018 সালে।

যেরাতে একরাম টেকনাফে নিহত হয় ক্রস ফায়ারে - সেরাতে ময়মনসিহের নান্দাইলে আমার নিজের বাড়িতেই আমি ছিলাম।

আমার বাবার ইন্তেকালের কারণে আমি ইন্টারনেটে তখন তেমন একটা সক্রিয় ছিলাম না।

শুধু ইমেইল আর মেসেঞ্জার চেক করতাম।

তো হঠাৎ অপেরা মিনি সফটওয়্যারের নোটিফিকেশনে দেখি টেকনাফের কাউন্সিলর একরাম ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছে ইয়াবার চোরাকারবারের কারণে।

খবরটা আমার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিলো না।

কেননা , তখন ইয়াবা চোরাকারবারের কারণে সারাদেশে প্রায় এক শ' চোরাকারবারি ক্রস ফায়ারে নিহত হয়েছে।

🌟 আবার ফিলিপাইনে আইন বাহিনির এনকাউন্টারে কয়েক হাজার মাদক অপরাধি নিহত হয়েছিলো বেশ কিছু সময় আগে।

আর মেক্সিকোতে মাদক অপরাধি আর আইন বাহিনির মধ্যে লড়াই চলে আসছিলো অনেক বছর আগে থেকেই।

তাই একরামের ক্রস ফায়ার তো বটেই - সারাদেশের ক্রস ফায়ার নিয়ে আমার কোন আগ্রহই ছিলো না।

এর মধ্যে আমার বাবা ইন্তেকাল করেছেন।

🌟 একরামের ক্রস ফায়ার নিয়ে যে কারণে লিখছি ✒

কক্সবাজার আর চট্টগ্রামে ক্রস ফায়ারে অহরহই অপরাধিরা নিহত হয়।

শুধু Rab না , অনেক আগে থেকেই পুলিশের হাতে অপরাধিরা নিহত হ‌চ্ছে।

আর Rab তো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে 2004 সালে - যখন আমি হাফপেন্ট ছেড়ে ফুলপেন্ট পরিধান করা শুরু করেছি তখন।

* 2002 সালে Rab-র প্রতিষ্ঠার আগেই গিট্টু নাসির নামের এক সন্ত্রাসি Ak-47 রাইফেল দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।

গুলি করে যখন বুলেট শেষ হয় , তখন গিট্টু নাসির নদীতে লাফিয়ে পালাতে যায়।

তখন পুলিশের রাইফেলের বুলেট বৃষ্টিতে গিট্টু নাসির নিহত হয়।

* 2004 সালের পরে র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে অনেক অপরাধিই নিহত হয়।

এদের মধ্যে আহাম্মদ হোসেন চৌধুরী ওরফে আহমইদ্যা আর গিয়াস উদ্দিন হাজারিকার ক্রস ফায়ার ছিলো চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সবচেয়ে বেশি আলোচিত।

কিন্তু 2018 সালের মে মাসে একরাম চৌধুরীর ক্রস ফায়ার উক্ত দুই সন্ত্রাসির ক্রস ফায়ারের চেয়ে বেশি আলোচিত তো বটেই - বরং সারাদেশে আলোড়নের সৃষ্টি করে।

* শুধু তাই না , বরং নরসিংদীর মেয়র লোকমানের হত্যাকাণ্ড আর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটনকে জাতীয় পার্টির একনেতা কর্তৃক গুলি করিয়ে হত্যা করানো এবং ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান একরাম  হত্যার পরেও এতো আলোড়ন হয়নি।

আমি তো অবাক হয়েছিলাম , যখন একরামের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সাফাই গেয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন।

শুধু তাই না , ইন্টারনেট , ফেসবুক , ইউটিউব ও পত্রিকাতে একরামের পক্ষে মানুষে সাফাই গেয়েছে - যদিও র‌্যাবের হেড কোয়ার্টার (Rab HQ) থেকে বলা হয়েছিলো যে , একরামের মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ র‌্যাবের কাছে ছিলো।

সেই সঙ্গে আলোড়ন আরো বেড়েছে , ক্রস ফায়ারের সময় রেকর্ড হওয়া ফোন কলের অডিও ফাঁস হওয়ার কারণে।

🌟 তাই এইসকল কারণেই আজ আমি একজন ঐতিহাসিক হিসেবে আমার অভিজ্ঞতায় একরামের ক্রস ফায়ার নিয়ে লিখতে বাধ্য হচ্ছি।

🌟 প্রিয় পাঠক / পাঠিকা , আমার এই লিখা আমি লিখছি সম্পূর্ণভাবে আমার অভিজ্ঞতায় । তাই , ঐ ঘটনা নিয়ে যারা লিখেছেন - তাদের লিখার সঙ্গে আমার এই লিখার পার্থক্য থাকতেই পারে। এমনকি র‌্যাবের যে সকল সদস্যগণ ঐ ক্রস ফায়ারের সময় উপস্থিত ছিলেন , তাদের মতামতের সঙ্গে আমার এই লিখার পার্থক্য হতেই পারে। এমনকি একরামকে যে অফিসার গুলি করে হত্যা করেছে - ওর মতামতের সঙ্গেও আমার এই লিখার পার্থক্য হতে পারে। 

🌟 কক্সবাজার , টেকনাফ আর সেন্টমার্টিন দ্বীপে আমি অনেকবার গিয়েছি।

কিন্তু একরাম চৌধুরীকে আমি কোন দিন দেখিওনি - আর তাকে চেনার তো কোন প্রশ্নই আসেনা। 

🌟 2019 সালের জানুয়ারির শেষের দিকে আর ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে আমি বেড়িয়েছি কক্সবাজার , মহেশখালি দ্বীপ , কুতুপালং , টেকনাফ , উখিয়া , বালুখালি , নাইক্ষ্যংছড়ি , তমব্রু সীমান্তসহ আরও অনেক স্হানে। তবে উক্ত স্হানগুলোতে আগেও আরও অনেকবার গিয়েছিলাম।

🌟 কিন্তু 2019 সালের ভ্রমণটা ছিলো একটু অন্যরকম। কেননা , সেই সময়ে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের বালুখালি , উখিয়া , কুতুপালংসহ আরো অনেক স্হানে বসতি করে ঐ অঞ্চলের আইন , শৃঙ্খলা আর পরিবেশের অনেক ক্ষতি করেছে। যাকে বলা যায় , একেবারে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে (🌐🗺️ GOOD AND BAD OF THE REFUGEES ! - 🙌🏻⌨️📲 Written by Junayed Ashrafur Rahman)
। আর সঙ্গে করে মায়ানমার থেকে নিয়ে এসেছে বস্তার বস্তা ইয়াবা আর অবৈধ অস্ত্র।

আর ঐ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে বস্তার বস্তা ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজারের স্হানীয় দালাল আর চোরাকারবারিরা সারাদেশের অন্যান্য চোরাকারবারিদের কাছে ছড়িয়ে দেয়।

এবং একরাম ছিলো কক্সবাজারের স্হানীয় মাদক চোরাকারবারি আর দালালদের তথাকথিত গডফাদার। 

🌟 কে এই একরাম চৌধুরী ? ✒

বলা হয়ে থাকে , টেকনাফের আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নাকি একরামের বাপ - দাদা আর চাচারা।

ওর দাদা নাকি টেকনাফের চেয়ারম্যান থাকা অবস্হায় দমদমিয়া সড়কটা নিজের খরচে তৈরি করেছিলো।

এই কথা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য না। কেননা , সেই সময়ে মানুষে চেয়ারম্যানি নির্বাচন করতো জনগণের চাল - গম চুরি করে বড়লোক হওয়ার জন্য।

আর সেই সময়ে একরামের দাদা নিজের খরচে দমদমিয়া সড়ক তৈরি করেছিলো - সেটা অবিশ্বাস্য হওয়ারই কথা। 

এবং একরামের এক চাচাও নাকি ছিলো টেকনাফ - উখিয়ার এমপি ।

🌟 আর একরাম ছিলো টেকনাফ - উখিয়ার সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির একান্ত কাছের লোক এবং সম্পর্কে বেয়াই । আর বদি এমপি ছিলো ইয়াবার আরেক তথাকথি গডফাদার। 

তাই এই কারণেই বদি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায় একরামের ক্রস ফায়ারের মাত্র কয়েকদিন পরেে। 

এই তো 2019 সালে , বদির চার ভাই ইয়াবাসহ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। 

আর এভাবেই প্রমাণিত হয় যে , বদির পরিবারটাই ইয়াবার চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। 

আর এদেরই একজন গ্যাং লিডার ছিলো একরাম। 

🌟 ইয়াবা , মায়ানমার , কক্সবাজার ও টেকনাফ ✒

* সম্ভবত 2002 সালের দিকে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার করা হতো হেরোইন আর কোকেনের বিকল্প হিসেবে। 

কেননা কোকেন আর হেরোইনের দাম ইয়াবার চেয়েও অনেক বেশি এবং সেটা উৎপাদন করা হয় প্রাকৃতিকভাবে চাষ করা পপি ফুলের নির্যাস মানে রস থেকে। আর সেটা ছিলো অত্যন্ত ব্যয় বহুল আর দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। 

* এবং কোকেন আর হেরোইন তৈরির কাঁচামাল পাচার করে মায়ানমারে আনা হতো পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের পাহাড়ি অঞ্চলের পপি ফুলের চাষিদের কাছ থেকে। 

তবে , তালেবান গভমেন্টের আমলে পপি চাষ কিছুটা কম হতো আর যেটুকু হতো , সেটা দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অত্যন্ত গোপনে হতো। 

* কিন্তু 2002 সালে তালেবানদের পতনের পরে আবার শুরু হয় ব্যাপকহারে পপি ফুলের চাষ। আর উৎপাদিত কাঁচামাল পাচার হতে থাকে মধ্যপ্রাচ্য আর তুরস্কের মতো দেশে। 

এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশে। 

* কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে হেরোইনের বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ডের কিছু মাদক অপরাধি জার্মানি থেকে আমদানি করা একটা কেমিকেল পদার্থ দিয়ে এক ধরণের টেবলেট তৈরি করে। আর মায়ানমারে টেবলেটের নাম দেয়া হয় ইয়াবা। 

* বলা হয়ে থাকে , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এডলফ হিটলার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে , বিশেষ করে রাশিয়ার জোসেফ স্টেলিনের রেড আর্মির বিরুদ্ধে যেন নিজের নাৎসি বাহিনি যুদ্ধে বিজয়ী হতে পারে , সেজন্য জার্মানির কিছু বিজ্ঞানীকে বলেছিলো , নতুন একটা মাদক তৈরি করার জন্য। 

আবার এডলফ হিটলার নিজেও ছিলো মাদকসেবি। প্রতিটা ভাষণের আগে সে মাদক গ্রহণ করে নিতো। 

* জার্মানি হচ্ছে উল্লেখযোগ্য জ্ঞানী , গুণী আর বিজ্ঞানীদের দেশ। 

দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট , নিটশে , হেগেল , কার্ল মার্ক্স , কবি গ্যাটে , আলবার্ট আইনস্টাইন , হাইজেনবার্গ , ডাক্তার হ্যানিমেন , সিগমুন্ড ফ্রয়েড আর জেনারেল বিসমার্কের মতো ব্যক্তিদের জন্মভূমি হচ্ছে জার্মানি। 

তাই হিটলারের চাহিদা মতো সেই সময়ের ঔষধ বিজ্ঞানীরা নতুন একটা মাদক তৈরি করে। যে মাদকটা নাৎসি বাহিনির সৈন্যরা উত্তেজক হিসেবে গ্রহণ করতে থাকে। 

* আর এটা দিয়েই টেবলেট বানিয়ে থাইল্যান্ড আর মায়ানমারে ইয়াবা হিসেবে অবৈধ কেনাবেচা আর চোরাচালান হতে থাকে। 

বলা হয়ে থাকে , শুরুর দিকে ইয়াবা টেবলেট খাওয়ানো হতো পাহাড়ের কাঠ আর পাথরটানা ঘোড়াগুলোকে , যেন পাহাড়ি অঞ্চলের ঘোড়াগুলো বেশি করে কাঠ আর পাথর টানতে পারে। 

পরবর্তীতে পাহাড়ি শ্রমিকরাও বেশি কাজ করার জন্য ইয়াবা খাওয়া শুরু করে এবং মায়ানমারের মাদক অপরাধিরাও বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার শুরু করে। 

আর মায়ানমারের মাদক অপরাধিদেরকে সহযোগিতা করতে থাকে সাবেক এমপি বদি , বদির ভাইয়েরা আর একরামের মতো টাউট , বাটপার , চোরাকারবারি , গ্যাং লিডার আর তথাকথিত গডফাদাররা। 

আর এভাবেই ইয়াবা চোরাকারবারের প্রবেশপথে পরিণত হয় টেকনাফ আর উখিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। 

🌟 আর কোকেন ও হেরোইন যারা গ্রহণ করতো - ওরা তুলনামূলকভাবে স্বস্তা ইয়াবা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় , যেমনটা নতুন বৌ পেয়ে মানুষ আনন্দিত হয়। 

এবং ইয়াবার চোরাকারবার ঢাকা শহরেও এসে চালু হয়।

🌟 টেকনাফের ইয়াবা অপরাধ যেভাবে জানাজানি হলো ✒

শুরুতে কিন্তু গোপনেই টেকনাফ আর উখিয়া দিয়ে ইয়াবা পাচার হতো।

কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা ,"চোরাবালি" তে সন্ত্রাসি নেতা মানে তথাকথিত গডফাদার আলি উসমান (শহীদুজ্জামান সেলিম) ওর বসকে (এটিএম শামসুজ্জামান) বলছে , মায়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে ইয়াবার নতুন চালান এলে বসের টাকার কোল বালিশ আরো মোটা হবে ......। 

এবং ঐ ছবিতেই একটা ছেলে ঢাকা শহরের গুলশানে ইয়াবা বিক্রির অনুমতি চায় সুমনের (ইন্দ্রনীল) কাছ থেকে।

আবার বাংলাদেশের আরেকটা সিনেমা ,"সর্বনাশা ইয়াবা" তে দেখানো হয়েছে ইয়াবা চোরাকারবারিদেরকে খুন করার একের পর এক দৃশ্য।

মূলত এই ধরণের ছবির মাধ্যমেই উঠতি বয়সের ছেলে - মেয়েদের কাছে জানাজানি হয়েছে যে , মায়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার হয়।

🌟 এক সময় শুধু ছেলেরা ইয়াবা খাইতো - কিন্তু পরবর্তীতে মেয়েরাও ইয়াবা খাওয়া শুরু করে।

বিশেষ করে যে সকল কলগার্লেরা প্রতিরাতে সেক্স করার জন্য তিন হাজার , পাঁচ হাজার , দশ হাজার এমনকি আরো বেশি টাকা নেয় - ওরাও ইয়াবা খাওয়া শুরু করে।

আর এভাবেই বাংলাদেশে ইয়াবা অপরাধ বাড়তে থাকে। 

🌟 অবশেষে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে করে আনা বস্তার বস্তা ইয়াবা সারাদেশে ছড়িয়ে যায়।

আর ইয়াবার ঐ ছড়িয়ে যাওয়ার বড় মাধ্যম হচ্ছে সাবেক এমপি বদি , বদির ভাইয়েরা আর একরামের মতো টাউট , বাটপার , গ্যাং লিডার আর তথাকথিত গডফাদাররা। 

🌟 ইয়াবা অপরাধ ও কক্সবাজারের পুলিশ - প্রশাসন ✒

আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে , সারাদেশে ঢাকা শহরের পরে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা কক্সবাজারেই সবচেয়ে বেশি।

এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঢাকা শহরের চেয়েও পুলিশ প্রশাসন বেশি সক্রিয় কক্সবাজারে।

পুলিশ , আর্মি , বিমান বাহিনি , র‌্যাব , ডিবি , সিআইডি , বিজিবি , কোস্টগার্ড , কাস্টমস পুলিশের এতো ক্যাম্প বাংলাদেশের অন্য কোথাও আছে কি - না , সেটা আমার জানা নাই।

এমনকি , একটা সময় আমি মনে করতাম , ঢাকা শহরের মেয়ে পুলিশেরাই বেশি সুন্দর।

কিন্তু এইবার (2019) দেখলাম , কক্সবাজারের মেয়ে পুলিশেরাই বেশি সুন্দর।
এমনকি একেকজনকে ডানাকাটা পরী বললেও ভুল হবে না। 

যাই হউক , সুন্দরি পুলিশদেরকে কোথায় বেশি নিয়োগ দেয়া হবে - সেটা বাংলাদেশ পুলিশের নিজস্ব ব্যাপার।

কিন্তু যদি সুন্দরি পুলিশেরা মডেল তারকার মতো নিজেদের সৌন্দর্য আমাদের সামনে প্রদর্শন করে , তবে আমাদের দেখতে কোন সমস্যা নাই।

অতএব , সুন্দরি পুলিশেরা যদি নিজেদের সৌন্দর্য দেখায় - আমরা দেখবো , আর যদি না দেখায় , আমরা দেখবো না।

এই ধারা চলছে - চলবে। 

* যে কথা বলছিলাম , ঐ রকম অবস্থায় যদি ইয়াবা অথবা অন্যান্য মাদকের চোরাচালান হয় - তবে সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উদ্বেগের কারণ হতেই পারে। 

তাই 2018 সালে বাংলাদেশে ফিলিপাইন আর মেক্সিকোর মতোই মাদক দমন করা হয়েছিলো। 

🌟 ক্রস ফায়ারের সময় রেকর্ড হওয়া অডিও প্রসঙ্গে ✒ 

এই কথাগুলো আমার না - বরং টেকনাফ ভ্রমণ করার সময় একেক জন একেক কথা বলেছেন , সেগুলোরই সারমর্ম। এগুলো সত্যও হতে পারে , আবার মিথ্যাও হতে পারে ! :- 

একরামকে ক্রস ফায়ার করার পরে মিলিটারি ও পুলিশি স্টাইলে গালিগালাজ করা হয়েছিলো - আপনারা ঐ অডিও হয়তো শুনেছেন !

 অনেকেই মনে করেছিলো , ঐ গালিগালাজ করা হয়েছিলো সদ্য নিহত একরামকে। কিন্তু সেটা না।

টেকনাফের কয়েকজনের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি যে , "এইটার বাচ্চাকে , ঐটার বাচ্চাকে ...... ধর্ ...... ধর্ ...... " বলে যে গালিগালাজ করা হয়েছিলো - সেটা নাকি র‌্যাবের যে অফিসারে একরামকে গুলি করে হত্যা করেছিলো , তাকেই গালিগালাজ করা হয়েছে।

কেননা , একরামকে ক্রস ফায়ারে হত্যা করার পরিকল্পনা র‌্যাবের টেকনাফ ক্যাম্পের কারোরই নাকি ছিলো না। ওদের পরিকল্পনা ছিলো একরামকে গ্রেফতার করে থানায় দিয়ে দেয়ার। 

কিন্তু কক্সবাজারের লিঙ্ক রোডের র‍্যাব কেম্পের নাকি অন্য আরেক ক্যাম্পের এক অফিসার আসে সিভিল ড্রেসে।

তারপর একরামকে হ্নীলা (নীলা) নামক স্হানে গ্রেফতার করে। কিন্তু অন্য কেম্প থেকে আসা সেই সিভিল ড্রেসের র‍্যাব অফিসার হঠাৎ করেই একজনের কাছ থেকে হাফহাতা র‍্যাবের কোটটা নিয়ে পরিধান করে আর একরামের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। এক পর্যায়ে কেউ কিছু বুঝার আগেই একজনের কাছ থেকে পিস্তল নিয়ে একরামকে দুইটা গুলি করে। একটা বুকে , আরেকটা কপালে। 

আর ঐ অফিসার সেই স্থান ত্যাগ করে।

কিন্তু ক্রস ফায়ারের ঝামেলা আর দায় চাপিয়ে দিয়ে আসে টেকনাফের র‍্যাব কেম্পের উপর। সেই কারণেই নাকি ঐ অফিসারকে গালিগালাজ করা হয়েছিলো। 

* সত্য - মিথ্যা জানি না। কিন্তু , আমার অভিজ্ঞতায় আমি যেগুলো জানতে পেরেছি , সেগুলোই আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। 

🌟 বাংলাদেশ এখন আগের মতো মাদকের উৎপাত নাই। 
যদিও কিছু কিছু আছে , কিন্তু আগের মতো না।

🌟 প্রিয় পাঠক / পাঠিকা , এতক্ষণ তো একরাম , বদি , র‍্যাব , পুলিশ , প্রশাসন নিয়ে বললাম , এবার আমার কিছু কথা বলি ✒

ছোটবেলায় যখন ইয়ান ফ্লেমিং - এর জেমস বন্ড সিরিজের উপন্যাস পড়তাম , তখন আমিও স্বপ্ন দেখতাম জেমস বন্ডের মতো দেশ প্রেমিক মিলিটারি অফিসার (সিক্রেট সার্ভিসের ইন্টেলিজেন্ট অফিসার) হওয়ার।

তাই 2004 থেকে 2007 পর্যন্ত মিলিটারি ট্রেনিং অনুসরণ করে প্র্যাকটিস করেছি - কিন্তু মিলিটারিতে যাইনি।

আবার অনার্স পাশ করার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ অফিসার হওয়ার - সেই সিদ্ধান্তও বাদ দিই।
এটা উল্লেখ্য যে , সাহিত্যে অনার্স - মাস্টার্স পাশ করা ছাত্ররাও কিন্তু বড় বড় পুলিশ অফিসার হয়। 

যদি আমি মিলিটারি অফিসার অথবা পুলিশ অফিসার হতাম - তবে হয়তো আমাকেও অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হতো র‍্যাবের। 

আর আমিও হয়তো সিভিল ড্রেসে কেম্প থেকে কেম্পে ঘুরে বেড়াতাম......। 


Comments

Popular posts from this blog

151)POWER OF THE PRIME MINISTER.(প্রধানমন্ত্রীর দাপট।) - Written by Junayed Ashrafur Rahman

707)After the fantasy of ministry.(মন্ত্রিত্বের ফ্যান্টাসির পরে।)– Written by Junayed Ashrafur Rahman

202)THE DATE IS 17 AUGUST.(তারিখটা 17 আগস্ট।)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman