166) যেভাবে দাউদ ইব্রাহিমের অনুসীরা বাংলাদেশে সক্রিয় ছিলো(IN BANGLADESH, HOW FOLLOWERS OF Dawood Ibrahim WERE ACTIVE) -Written by Junayed Ashrafur Rahman
166 ) যেভাবে দাউদ ইব্রাহিমের অনুসীরা বাংলাদেশে সক্রিয় ছিলো (IN BANGLADESH, HOW FOLLOWERS OF Dawood Ibrahim WERE ACTIVE)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒
শেয়ার বাজারে দুর্নীতি , রিয়েল এস্টেটের নামে দুর্নীতি আর সাধারণ মানুষের জমি আত্মসাৎ , বিভিন্ন ধরণের চোরাকাবার (SMUGGLING) , বিদেশে টাকা পাচার আর চলচ্চিত্রে গুণ্ডামি করে বাংলাদেশ দাউদ ইব্রাহিমের অনুসীরা সক্রিয় ছিলো ।
🌟 1990 সালের পরে দাউদ ইব্রাহিম ভারত থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে গেলেও দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীরা 2004 সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সক্রিয় ছিলো।
অপরাধ বাংলাদেশে প্রাচীন কাল থেকেই হতো।
কিন্তু মুম্বাইয়ের ডন দাউদ ইব্রাহিম যখন রিয়েল এস্টেট , শেয়ার বাজার আর বলিউডে নিজের অপরাধ বিস্তার করেছিলো - তখন ওর দেখাদেখি কিছু মানুষ বাংলাদেশে অপরাধে তৎপর হয়েছিলো - সেটা জোশের বশেই হউক অথবা অপরাধ প্রবণতার কারণেই হউক অথবা বেহিসাবি অবৈধ (কালো) টাকা উপার্জনের জন্যই হউক।
1990 সালের পরের অপরাধ সমূহ এই কারণেই আগের অপরাধ থেকে অন্যরকম।
🌟 স্বর্ণ চোরাচালান এদের মধ্যে অন্যতম।
সেই সময়ে না ছিলো সিসি কেমেরা , না ছিলো স্কেনার - বডি চেকই ছিলো প্রধান উপায়।
তাই স্বর্ণ চোরাকারবারিরা যেভাবে পেরেছে , সেভাবে স্বর্ণ চোরাচালান করেছে।
শুধু সেটাই না , বরং হেরোইনও দেদারছে চোরাচালান হতো।
আর এই সকল ঘটনা অবলম্বনেই সেই সময়ে নির্মিত হয়েছিলো "তথাপি" নাটক।
এবং সেই সময়ের ডায়ালগ ,"সোনা বিস্কুট , সোনা বিস্কুট" আর "দুবাই যামু টাকা দেন , দুবাই যামু টাকা দেন" মানুষ অহরহই বলতো।
🌟 1990 এর আগে বাংলাদেশের মানুষ শেয়ার বাজার আসলে কী ? সেটাই ঠিক মতো জানতো না।
কিন্তু 1990 এর পরে বিটিভির সংবাদে শেয়ার বাজারের দরের আপডেট খবর নিয়মিতই প্রচার হতো। এভাবেই শেয়ার বাজার সম্পর্কে মানুষ জানতো।
তবে , শেয়ার বাজারেও যে , দুর্নীতি হতো - সেটা জানতো ওরাই , যারা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতো।
দাউদ ইব্রাহিম মুম্বাইয়ে সেগুলো করতো আরো আগে থেকেই - ওর দেখাদেখি বাংলাদেশের কিছু শিল্পপতিও শেয়ার বাজারে দুর্নীতি করা শুরু করে।
🌟 রিয়েল এস্টেটের নামে দুর্নীতি ও মানুষের জমি দখল করেও দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীরা বাংলাদেশে সক্রিয় ছিলো।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় বিল্ডিং আর তাতে ফ্লেট করে দেয়ার নাম করে টাকা নিয়ে নেয়া , আবার অন্যের জমিতে বিল্ডিং করে দেয়ার নাম করে শেষে জমিটাই অবৈধ দখল করা প্রভৃতি করে অপরাধে সক্রিয় থাকাই ছিলো সেই সময়ে দাউদ ইব্রাহিমের অনুসীদের অপকর্ম।
🌟 চলচ্চিত্রে প্রযোজনার নামে নায়কসহ অন্যান্য অভিনেতাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি আর নায়িকাদের সঙ্গে অনৈতিক কাজ প্রভৃতিই ছিলো বাংলাদেশে দাউদ ইব্রাহিমের অনুসীদের আরেক অপতৎপরতা।
🌟 অবৈধভাবে অর্জিত টাকা বিদেশে পাচার করার প্রবণতা সেই সময়েই বাংলাদেশে শুরু হয়।
এটাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে (DIRECTLY AND INDIRECTLY) দাউদ ইব্রাহিমের অনুসরণেও করা হতো।
🌟 দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীদের ঐ অপকর্মগুলো পরে আর ঢাকা শহরে সীমাবদ্ধ থাকেনি।
জেলা শহর থেকে মফস্বলেও শুরু হয় তাদের অপরাধের তৎপরতা।
মফস্বলের ধনী ব্যক্তিদের সন্তানরাও বেহিসাবি অবৈধ টাকার মালিক হওয়ার জন্য দাউদ ইব্রাহিমের সেই সকল অনুসারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা শুরু করে এবং সেভাবে অপরাধ করতে চেষ্টা করে।
এমনকি ঢাকা শহরের স্টাইলে গ্রামে - গঞ্জেও অপতৎপরতা শুরু করে।
🌟 বাংলাদেশে দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীদের মধ্যে আজিজ মোহাম্মদ ভাই (< বাহাই) অন্যতম।
শেয়ার বাজারের কেলেঙ্কারি , নায়িকাদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক , নায়ক সোহেল চৌধুরীর হত্যা , সালমান শাহ্কে খুন করার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহ এমনকি স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গেও আজিজ ভাইয়ের জড়িত থাকার সন্দেহ করা হয়।
1995 - 1997 সালে "আজিজ গোল্ড" বলতে আজিজ ভাই কর্তৃক স্মাগলিং করিয়ে আনানো স্বর্ণকেই বুঝানো হতো।
শুধু সেটাই না , আজিজ ভাইয়ের পিতামহ ভারতের গুজরাট থেকে বাংলাদেশে এসে স্হায়ী হওয়ার কারণে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আজিজ ভাইয়ের আত্মীয়তার সম্পর্কও ধারণা করা হতো।
এবং 1995 - 1997 সালের দিকে বিভিন্ন পত্রিকাতে আজিজ ভাই সম্পর্কে অনেক খবরও প্রকাশ হতো।
এভাবেই বাংলাদেশে দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীরা বাংলাদেশে সক্রিয় ছিলো।
🌟🌟🌟 কিন্তু দাউদ ইব্রাহিমের সকল অনুসারীর অপতৎপরতার বিস্তার একেবারে চুরমার হয়েছিলো 2004 থেকে 2006 সাল পর্যন্ত বাংলাভাই আর বুড়া হুজুরের তাণ্ডবের কারণে।
🌟 2007 সালে বাংলাভাই , বুড়া হুজুর আর অন্যান্য জঙ্গিনেতাদের (MILITIA LEADERS) ফাঁসি কার্যকরের পরে আবারও দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীরা কিছুটা সক্রিয় হয়েছিলো।
এই কারণেই দাউদ ইব্রাহিমের ভাতিজা ছোট্টা শাকিল ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছিলো।
কিন্তু 2009 সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে ছোট্টা শাকিলকে গ্রেফতার করা হয়।
এভাবেই বাংলাদেশে দাউদ ইব্রাহিমের অনুসারীরা প্রায় বিদায় হয়ে যায়।
🌟 আর এখন শুধু বাংলাভাই আর বুড়া হুজুরের অনুসারীরাই গ্রেফতার হয় - সেটা নব্য জেএমবি নামেই হউক আর বুইড়্যা জেএমবি নামেই হউক ।
Comments
Post a Comment