🦇63) মাসুদ অরুণ : - মানুষরূপী রক্তচোষা এক বাদুড়।

🗺️⏰🦇63) মাসুদ অরুণ  : - মানুষরূপী রক্তচোষা এক বাদুড়। - Written by Junayed Ashrafur Rahman https://parg.co/bPrW ✒ 

🌟 মাসুদ অরুণ যদি সংসদ সদস্য না হয়ে অন্যান্য সর্বহারাদের মতো নিছক চরমপন্থী নেতা হতো , তবে তাকে রক্তচোষা 🦇 বাদুড় না বলে , রক্তচোষা জোঁক অথবা মশা বলতাম।

🌟 2001 সাল।

চার দলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মেহেরপুর - গাংনী আসনে এমন এক লোককে মনোনয়ন দেয়া হলো - যে ছিলো   চারু মজুমদারের  ভাবশিষ্য ও চরমপন্থী সর্বহারা নেতা মাসুদ অরুণ।

আর তার মনোনয়ন পাওয়াটা ছিলো এক অস্বাভাবিক ব্যাপার এবং তৎকালীন চার দলীয় জোটের অন্যান্য নেতাদের কাছে অপছন্দনীয় একটা ব্যাপার।

🌟 বলা হয়ে থাকে , মনোনয়ন পাওয়ার আগেও সে ছিলো চরমপন্থী সর্বহারা নেতা। কিন্তু তার বাবা বিএনপি করার কারণে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সে ধানের শীষের মনোনয়ন পায় - অনেকটা লড়াই ছাড়াই যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার মতো ব্যাপার।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনে দাখিলের টাকা না থাকার কারণে সে তার মায়ের অলঙ্কার বিক্রি করে। এবং অলঙ্কার বিক্রির টাকা দিয়ে নির্বাচনের জামাত প্রদান করে।

নির্বাচনের টাকা দাখিল ছাড়াও নির্বাচনের ব্যয় নির্বাহের জন্যও সে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন শুরু করে। আর সেই টাকা উত্তোলনের জন্য সে স্লোগান তৈরি করে , " রক্ত দিয়ে শোধিবো ঋণ - ধানের শীষে ভোট দিন ! "

মানুষের সহানুভূতি আর দয়ার ভোট পেয়ে সে নির্বাচনে পাশ করে।

🌟 আর নির্বাচনের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি , রক্ত দিয়ে ঋণ শোধ করার প্রতিশ্রুতি সে পালন করেছিলো নিজের রক্ত দিয়ে না - বরং রক্তচোষা বাদুড়ের মতো মানুষের রক্ত শোষণ করে !

মেহেরপুর অঞ্চলে এমন কোন কুকর্ম নাই , যে কুকর্মে সে আশ্রয় - প্রশ্রয় দেয় নাই।

🌟 এর চেয়ে আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে , তার প্রশ্রয়ে সেই সময়ের সর্বহার চরমপন্থীরা আরও তৎপর হয়ে উঠেছিলো।

শুধু তাই না , সর্বহারা চরমপন্থীরা মাসুদ অরুণকে জোট সরকারে তাদের নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত করতে শুরু করেছিলো। 

🌟 মূলত এই ব্যাপারের কারণেই সর্বহারারা সম্পূর্ণ রাজশাহী অঞ্চলে খুন , চাঁদাবাজির মতো চরম অপরাধে সক্রিয় হয়ে উঠে।

🌟 মাসুদ অরুণের যে চেহারা 

- সুরত , তা দেখে সাধারণ মানুষ তাকে সর্বহারা চরমপন্থী নেতা মনে না করে কোন বাউল কবি ও গায়ক মনে করে ভুল করতে পারেন।

যাকে জাতীয় সংসদের চেয়ে বরং ফকির লালন শাহ্ - র মাজারের বাউল গানের আসরেই বেশি মানায়।

🌟 মূলত , মাসুদ অরুণের কারণেই চরমপন্থী সর্বহারারা এতো তৎপর হতে পেরেছিলো। আর ওদেরকে দমন করার জন্যই বাংলা ভাই আর শায়খ আব্দুর রহমানরা শিক্ষকতা বাদ দিয়ে মানুষ খুনে মেতেছিলো। 

🌟 তাই আজ ষোল বছর পর আমার অভিজ্ঞতায় মাসুদ অরুণের ব্যাপারেও লিখতে হলো।